লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) আবেদন করায় ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ মাহমুদ (৬৭) নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে শঙ্কার বিষয়টি জানান তিনি।
এর আগে (১ মে) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌর সুপার মার্কেটে ডেকে নিয়ে আব্দুল্লাহকে হুমকি দেয় মেজবাহুল ইসলাম মেজবাহ। ঘটনার সময় তাকে প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয় বলে একইদিন আব্দুল্লাহ সদর মডেল থানায় জিডির আবেদন করেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ মাহমুদ লক্ষ্মীপুর চক বাজার এলাকার স্টুডেন্ট কর্ণারের স্বত্ত্বাধিকারী ও সদর উপজেলার আবিরনগর মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ। তিনি আবিরনগর এলাকার বাসিন্দা।
মেজবাহুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর পৌর দোকান ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আব্দুল্লাহ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। সে বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। হুমকির বিষয়টি সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌর দোকান ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম খোকন, সদস্য স্বপন চন্দ্র দেবনাথ, মজিবুল হক, আব্বাস মিয়া, মনির আহমেদ ও রঞ্জিত সাহা প্রমুখ।
আবুল কালাম খোকন বলেন, আব্দুল্লাহ মাহমুদ সমিতির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ নেই। মেছবাহ ডেকে নিয়ে আব্দুল্লাহ মাহমুদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল্লাহ মাহমুদ বলেন, ২৫ এপ্রিল আমাদের একটি জরুরি সভা হয়৷ সেখানে বক্তব্য দেওয়া নিয়ে ডেকে নিয়ে মেছবাহ আমাকে হুমকি দেয়। সে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। পরে আমি থানায় জিডি করে। শনিবার (৩ মে) পুলিশ থানায় আমাকে ডাকে। সেখানে গিয়ে দেখি মেছবাহসহ তার লোকজন বসে আছে। আমাকে দেখে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তাদের আচরণে আমি শঙ্কিত। যেকোন সময় তারা আমার বড় ধরণে ক্ষতি করতে পারে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি। আমি নিরাপত্তা চাই।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, আব্দুল্লাহ মাহমুদ জিডির জন্য আবেদন করেছেন। ঘটনাটি তদন্তে রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।