লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালিশী ভূমিতে মামলার বাদী পক্ষ কর্তৃক ইমারত নির্মান কাজ করার অভিযোগ । এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদরের পৌরসভার বাঞ্চানগর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে বাঞ্চানগর মৌজার ২শতাংশ জমি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। ২৪ এপ্রিল থানা কর্তৃপক্ষ দুইপক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নেটিশ দেয়। এরপর বাদীর ছেলে মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া শিমুল সহ কতেক নির্মাণ শ্রমিক ও বহিরাগত লোক এসে নালিশী আংশিক ভুমিতে ইমারত নির্মাণ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করলেও পুনরায় তারা কাজ শুরু করে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয়।
মালিকানা দলিল, পর্যালোচনায় জানা গেছে, বাঞ্চানগর মৌজার বিভিন্ন খতিয়ানে জনৈক মর্জিনা খাতুনের নিকট হতে ৬৮৬৪ নং হেবা দলিলে ৫২ শতাংশ জমির মালিক হন, মজিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, নাজমুন নাহার, আছমুন নাহার ও শিল্পী আক্তার। কিন্ত বাদীর মাতা মেহের নিগার ৫ শতাংশ জমি খরিদ করে তার কন্যা মরিয়ম বেগমকে ৮ শতাংশ জমি ২৯/৭/৯৯ ইং তারিখে ৩৬৩১নং হেবা দলিলে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী জমির মালিকদের পক্ষ থেকে মজিবুর রহমান জানান, মরিয়ম বেগমের ৩৬৩১নং হেবা দলিলে ৫ শতাংশ জমির মালিকানা বায়া দলিলের রেফারেন্স থাকলেও তিন শতাংশ জমির দলিলের সুর্নিদিষ্ট রেফারেন্স নেই। তিনি বলেন, প্রতিটি বৈঠকে ৩ শতাংশের মালিকানার বায়া দলিল দেখাবে বলে সময়ক্ষেপন করে তারা আমাদের জমির সীমানার আর.সি.সি পিলার থেকে প্রায় তিনফুট অতিক্রম করে ইমারত নির্মান কাজ করছে এবং জমিতে থাকা বাঁশঝাড় কেটে নেয়। তারা নিজেরা বাদী হয়ে আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে বলে জানান তিনি।
মরিয়ম বেগমের ছেলে মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া শিমুল জানান, তাদের মালিকানা জমিতে ইমারত নির্মান কাজ করছে। তারা নালিশী জমিতে প্রবেশ করে নাই। এ ছাড়া মরিয়ম বেগমের দায়েরকৃত মিছ মামলা নং-২২৭/২৫ এর তফসিলে ১০ শতাংশ ভূমির মালিকানা দাবী করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার এ এস আই জহিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বাদীপক্ষকে নালিশী জমিতে প্রবেশ এবং নির্মাণ কাজ না করতে পুনরায় নিষেধ করা হয়েছে।