নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লক্ষ্মীপুরের চারটি পৌরশহরসহ নিম্নাঞ্চল ৬০টি এলাকা। রাত থেকে আবারো মুষলধারে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে পানিবন্দি ৫ লাখ বাসিন্দা। কয়েকদিন ধরে এভাবে পানিতে ভাসতে দেখা যায় বাসিন্দাদের।
জানা যায়, বাড়িঘরে পানি উঠায় রান্না-বান্না করা যাচ্ছেনা। আবার অনেকেই বাসাবাড়িতে থাকতে না পারায় আশ্রয় নিয়েছে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানিবন্ধী মানুষদের। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ করেন পানিবন্ধীরা। এদিকে, আরো কয়েকদিন মেঘনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ-জামান। তিনি বলেন, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তোড়ে ভাঙন আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
গত কয়েকদিনে দুই উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি খুব সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে নদী ভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সদর উপজেলার চররমনী মোহন, দালালবাজার ইউনিয়নের গঙ্গাপুর, মান্দারী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল, কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট, কালকিনি, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেঞ্চ, চরকাদিরা ইউনিয়ন এবং রামগতি উপজেলার চরগাজী, আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নের নির্মাঞ্চল এলাকা গুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। পাশাপাশি পৌরসভার বিভিন্ন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পৌরবাসী। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাদের দাবী লক্ষ্মীপুরে ভরাট হওয়া খাল খনন করে এবং খাল থেকে অবৈধ দখলে করা স্থাপনা অপসারণ করলে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।