মোস্তাফিজুর রহমান টিপুঃ
লক্ষ্মীপুর চররুহিতা জনতা ফার্ম্মেসীতে উচ্চমুল্যে জ্বরের সরকারী এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগ। ফার্ম্মেসীর মালিক আবুল কাশেম ওই ইনজেকশন পুশিং করায় এক রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ব্যপারে ওই ভূক্তভোগী লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পর থেকে পলাতক রয়েছেন ফার্ম্মেসীর মালিক আবুল কাশেম।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের মোল্লারহাট রোডের পাশে জনতা বাজারে আবুল কাশেমের জনতা ফার্মেসীতে সরকারী এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সহ অন্যান্য সরকারী ঔষধ বিক্রি হচ্ছে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই তিনি ঔষদের ব্যবসা করেছেন।
আবুল কাশেম দক্ষিন চররুহিতা ৫নং ওয়ার্ডের আলী আহাম্মদের ছেলে।
ভূক্তভোগী সাবানা আক্তার জানান, তার বাড়ী চররুহিতা ইউনিয়নের জনতা বাজারের পাশে হোসেন মাঝি বাড়ী। জ্বরের জন্যে তিনি কাশেম থেকে অনেকদিন ঔষধ খেয়েছেন। ভাল না হওয়ায় তিনি লক্ষ্মীপুরে ডাক্তার দেখান। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে তিনি জনতা ফার্মেসীতে ঔষধ কিনতে গেলে মালিক আবুল কাশেম তাকে জ্বরের সরকারী এন্টিবায়োটিক “সেফিপাইম ওয়ান গ্রাম” ইনজেকশন দেয়। ১৪টি ইনজেকশন প্রতিটির মূল্য ৭’শ টাকা হারে দাম নেয়। তিনি ওই রোগীর বাড়িতে গিয়ে ইনজেকশনগুলো পুশ করে দিত। এক পর্যায়ে রোগী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে রোগীসহ তার স্বজনরা এসে আবুল কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তাদের ওপর চওড়া হয়ে উঠে। পরে ভূক্তভোগী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আহমদ কবীর জানান, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর জেলা ড্রাগ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি নিজেও সোর্স লাগিয়েছেন কিভাবে সরকারী ঔষধ তার কাছে গেল এ তথ্য বের করার জন্য।
স্থানীয়রা জানান, সরকারী হাসপাতালের কিছু অসাধু কার্মকর্তা-কর্মচরীরা সরকারী ঔষুধ ফার্ম্মেসীর মালিকের কাছে বিক্রি করছে। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। এছাড়া অভিযুক্ত কাশেম প্রশিক্ষণ ছাড়াই ৮-১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ঝুঁকি নিয়ে এ গ্রামে অন্তঃস্বত্বা মহিলাদের নরমাল ডেলিভারি করছে।